মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় ভোটারদের নজর কাড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগের দুই তরুণ নেতা এডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল এবং লায়ন জাহিদুর রেজা চন্দন।
এডভোকেট শাখারুল ইসলাম জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। অন্যদিকে তারই সহযোগী রাজনৈতিক নেতা সহ-প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুর রেজা চন্দন।
মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের তরুণ এই দুই নেতা ইতোমধ্যেই জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি জানান দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে তারা শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, উপজেলা নির্বাচনে হাইব্রিড এবং উড়ে এসে জুড়ে বসাদের মনোনয়ন দেবে না আওয়ামীলীগ। মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিতদের। অন্তত ১২ বছর আওয়ামীলীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলে, তার মনোনয়নের সম্ভাবনা কম। এ রকম কিছু মাপকাঠির প্রেক্ষিতেই উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের মাঠ জরিপ কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
এ অবস্থায় তরুণ এই দুই রাজনৈতিক নেতার মধ্যে এড. শাখারুল ইসলাম শাকিল এগিয়ে থাকবেন বলে তাদের অভিমত। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে এড. শাকিল মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একাধারে অলঙ্করণ করেছেন সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির পদ। সফল নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে ২০০৪ সন থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তরুণ এই আইনজীবী।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের সূত্র ধরে জাহিদুর রেজা চন্দনের জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অন্তর্ভূক্তি। সমাজসেবি, অত্যন্ত ভদ্রজন ও সদালাপি মানুষ হিসেবে পরিচিত চন্দন তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই পরিচিতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
তবে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস উভয় নেতার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেবে বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
মাগুরা সদর উপজেলায় বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের দুই সহ-সভাপতি আবু নাসির বাবলু এবং রোস্তম আলি। এবারের নির্বাচনে তারাও মনোনয়ন চাইবেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে তারা শীর্ষ নেতাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় প্রবীণ-নবীনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে টিকে থাকবেন, কে পাবেন নৌকা মার্কার টিকিট, সেই উত্তরের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটি দিন।